
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিরতার নেতৃত্ব দিচ্ছে¡ ছাত্রলীগ বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার দিনভর অবরুদ্ধ করে রাখা হয় ৫০ শিক্ষক কর্মকর্তাকে। রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ ৮ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ব্যানারে একটি অংশ।
প্রশাসন ও শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আলোচনার চেষ্টা করা হলেও, দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানালেও বিকাল চারটার দিকে ভিসির আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। গত ২৪ অক্টোবর নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ছাত্রদল ব্যানার টানায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে নির্দেশনা সংবলিত আরেকটি ব্যানার টানানো হয়। দুটি ব্যানার ও ফেস্টুন সাধারন শিক্ষার্থির নামে কিছু দুস্কৃতি ছিঁড়ে ফেলে। টানানো দুইটি ব্যানার ছিড়ে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় কিছু বহিরাগত এতে যোগ দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এতে প্রক্টোরসহ মোট ১০ জন আহত হন। এ ঘটনার পর রাতেই কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সিকৃবি ছাত্রদলের কমিটি বাতিল করে। অভিযোগ উটে ছাত্রলীগের ইন্ধনে এরপর থেকে প্রশাসনের উপর দায় চাপিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে আসছে একটি অংশ।
জানা যায়,সিকৃবি শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থি সোহেল আহমদ অয়ন বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিরতার মুল মাষ্টার মাইন। আ্ওয়ামীলিগের রঞ্জিত গ্রুপের এই সদস্য গত বছর মে মাসে তাকে সিকৃবি শাখার সভাপতি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সুপারিশ করেন রঞ্জিত সরকার। অয়ন কৃষি প্রৌকশল ও প্রযুক্তি অনুষদ চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তিনি শাহপরান হলে ২১৫ নং রুমে থাকেন।
জানতে চাইলে অয়ন বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও ছাত্রদল ব্যানার টানায় এতে সাধারন শিক্ষার্থিরা ব্যানার ছিড়ে ফেলে । ছাত্রদল ব্যানার টানোর কারনে সাধারন শিক্ষার্থিদের অসুবিধার কারন কি এমন প্রশ্নের তিনি সুদোত্তর দিতে পারেননি। অয়ন অতিথে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেননা বলে জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায় সংকট নিরসনে কাজ করছে তারা। উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।
আজকের সিলেট/ডি/এপি
