ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা সাহেদ আহমদ মুছাকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় গোয়ালাবাজার থেকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা গেছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় গোলাপগঞ্জ থানায় ২৩ আগস্ট দায়ের হওয়া মামলা নং ০৮ এর ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত গাড়ি চালক মোজাহিদ জানান, ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে পোশাক ও সাদা পোশাকে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাহেদ আহমদ মুছাকে আটক করে ওসমানীনগর থানায় নিয়ে যান এবং পরে গাড়ি পরিবর্তন করে সিলেট শহরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) আশরাফুজ্জামান পিপিএম জানিয়েছেন, ডিবি পুলিশের সদস্যরা চেয়ারম্যান মুছাকে গ্রেফতার করেছে।
গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, গোলাপগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলাতে ওসমানীনগর উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মুছাকে গ্রেফতারের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান মুছাকে ঘিরে দুই ভাগে বিভক্ত স্থানীয় শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে দু’পক্ষের শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন। এক পক্ষ সাহেদ আহমদ মুছাকে স্বপদে বহাল রাখার পক্ষে স্লোগান দেয়, অন্য পক্ষ তাকে অপসারণের দাবি জানায়। এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্থানীয় ব্যক্তিরা পরিস্থিতি শান্ত করতে উদ্যোগ নেন।
দুপুরের পর আন্দোলনকারীদের এক পক্ষ সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের শেরপুর টোলপ্লাজায় অবস্থান নেয়, অন্য পক্ষ সাদিপুর সেতুর পাশে অবস্থান করে। বিকেলে সাহেদ আহমদ মুছাকে স্বপদে বহাল রাখার দাবিতে একটি পক্ষ ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপমা দাস ও সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডারের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। এর কিছুক্ষণ পরেই চেয়ারম্যান কে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে।
এই গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে সাদিপুর ইউনিয়নে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে, এবং শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
আজকের সিলেট/প্রতিনিধি/এসটি