সাংবাদিক তুরাব হত্যাকাণ্ডে থানায় এজাহার
সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৭

সাংবাদিক তুরাব হত্যাকাণ্ডে থানায় এজাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫/০৭/২০২৪ ১০:০৫:২০

সাংবাদিক তুরাব হত্যাকাণ্ডে থানায় এজাহার


নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় পুলিশের নির্মম গুলীতে নিহত সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এজাহারের কপি গ্রহণ করেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ ও কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন শিপন।

বুধবার রাতে এসএমপির কোতোয়ালী মডেল থানায় সিলেটের সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে লিখিত এজাহার দাখিল করেন মরহুম সাংবাদিক তুরাবের বড় ভাই আবুল হাসান মো: আজরফ (জাবুর আহমদ)।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, কবি মুহিত চৌধুরী, ওভারসীজ করেসপনডেন্ট এসোসিয়েশন সিলেট (ওকাস) এর সভাপতি ও সিলেট প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি খালেদ আহমদ, দৈনিক প্রভাতবেলা সম্পাদক ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ কবির আহমদ সোহেল, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির লিটন, সাংবাদিক দিগেন সিংহ, মুনশি ইকবাল, এমজেএইচ জামিল, শাকিলা ববি, গোলজার আহমদ হেলাল, আবুল হোসেন, ফটো সাংবাদিক রেজা রুবেল, মামুন হোসেন, তামান্না আহমদ রত্না, আজমল হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও রেজাউল করিম সোহেল প্রমূখ।

নিহত সাংবাদিক তুরাবের বড় ভাই লিখিত এজাহারে উল্লেখ করেন -গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বেলা ১ টা ৫৫ মিনিটের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য কোর্টপয়েন্টে অবস্থান করেন তুরাব। এক পর্যায়ে জুম্মার নামাজের পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মিছিল শুরু করলে তুরাব মিছিলের পিছনে অন্যান্য সহকর্মীসহ অবস্থান নেয়। মিছিলটি পুরানলেন গলির মুখে পৌঁছলে সশস্ত্র পুলিশ বিপরীত দিক থেকে অবস্থান নেয়। ঐ মুহুর্তে হঠাৎ লাগাতার গুলিবর্ষণের শব্দ শুনে তখন আমার ভাই তুরাব বলে আমাকে বাচাঁও আমাকে মেরে ফেলছে। আমার চোখে মুখে গুলি লেগেছে। একথা বলেই সে মটিতে লুঠিয়ে পড়ে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন স্বাক্ষী ও পথচারীরা একটি সিএনজিতে (অটোরিক্সায়) তোলে ওসমানী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোবহানীঘাট ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। উক্ত হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি কিন্তু অত্যাধিক গুলির কারণে ডাক্তাররা আপ্রাণ চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেন নাই। এমতাবস্থায় চিকিৎসারত অবস্থায় ঐদিন সন্ধা ৬টা ৪৪ মিনিটের সময় সে মৃত্যুবরণ করে। গুলাগুলির স্থিরচিত্র ও ভিডিও চিত্র কর্তব্যরত সাংবাদিকদের কাছে রয়েছে। তদন্তকালে আমরা তা উপস্থাপন করবো। আমি আমার ভাইয়ের দাফন কাপনসহ অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকায় এবং সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে এজাহার দায়ের করিতে কিছুটা বিলম্ব হয়। এজাহারে উদীয়মান সাংবাদিক আবু তাহের মোঃ তুরাবের খুনীদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।

আজকের সিলেট/ডি/এসটি

সিলেটজুড়ে


মহানগর