সড়কের উপর জমে আছে ড্রেনের নোংরা পানি। ড্রেনের পাশের সড়কের চিত্রটা বড়ই উৎকট। দুর্গন্ধযুক্ত এই নোংরা কালো কাদায় আশপাশের পরিবেশ হয়ে ওঠেছে অসহনীয়। শুষ্ক মৌসুমে দৃশ্যমান নোংরা পরিবেশে প্রতিদিন দুর্ভোগে পড়েন হাজারো মানুষ।বলছি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পশ্চিম বাজারের সড়কের কথা।
সড়কের পাশে রয়েছে পশ্চিম বাজার কলোনি, সেলিম বর্ডিং (ব্যাচেলর বর্ডিং) আরপিননগর জামে মসজিদ ও অসংখ্য দোকানপাট। কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে স্ল্যাব দিয়েছেন ড্রেনের উপর। তাও মিলছে না পরিত্রাণ। মসজিদে আসা যাওয়াও বিপাকে পড়েন মুসল্লিরাও।
চায়ের দোকানদার রামকৃষ্ণ পাল বলেন, ২০২২ সালের বন্যার পর থেকে এই জায়গায়টার অবস্থা খারাপ। পৌরসভায় জানানো হলে, পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা একদিন এসে কিছুটা কাজ করে চলে যায়। ভালোভাবে পরিস্কার না করায় কিছুদিন পর আবার সড়কে ড্রেনের পানি উঠে যায়।
মেসার্স নূপুর ফুড এজেন্সির জেনি আহমদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা দুর্ভোগের মধ্যে আছি। বর্ষা মৌসুমে আরো বেশি খারাপ অবস্থা ছিল। আমরা ব্যবসায়ীরা কয়েকবার পৌরসভাকে এ বিষয়ে অবগত করছি। কিন্তু তারা কোন কর্ণপাত করে না। কিছুদিন আগে পৌর প্রশাসক এসে পরিদর্শন করে দ্রুত ড্রেন পরিস্কার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০-২৫ দিন চলে গেছে এখনো কোন কাজ হয়নি। দুর্গন্ধের জন্য দোকানে বসা যায় না, মশার আবাস তৈরি হয়েছে।
তসির স্টোরের প্রোপাইটার আফিজুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে সন্ধ্যার পরে বসাই যায় না মশার জন্য। নিজেরা বাধ্য হয়েস্ল্যাপ বানাইছি। ঘর থেকে বাড়াইলে পায়ে ময়লা লাগে। ভুক্তভোগীরাই ভালো জানে কি যন্ত্রণা। আমরা অনেকবার পৌরসভায় গেছি, তারা কইছে আইব, এভাবে দেড় বছর পেরিয়ে গেছে।
পশ্চিম বাজার কলোনির বাসিন্দা হুসনা বেগম বলেন, এইখানে পানি থাকার কারণে ময়মুরুব্বিরা নামাজে যাইতে পারে না। বাচ্চাদের বেমার আজার ওয়। আমরা ৮/৯ ঘর খুবই অসুবিধায় আছি।
আরপিননগর মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুর রকিব বলেন, মসজিদের সামনে পশ্চিম বাজারের ড্রেন আছে। দুর্গন্ধে মসজিদের আসা মুসল্লিদের খুবই অসুবিধা হয়। আমাদের সকলেরই দাবি, এই ড্রেনটি যেন ভালোভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে দেওয়া হয়।
সেলিম বডিংয়ে ভাড়ায় থাকা মহসিন আলম বলেন, ৫০-৬০ জন মানুষ থাকি। কেউ চাকরিজীবী, কেউবা ছাত্র। সবাইকে ড্রেনের উপর দিয়েই আসা যাওয়া করতে হয়। ড্রেনে নোংরা পানি জমে থাকার জন্য দুর্গন্ধ ছড়ায়, দৃষ্টিকটুও লাগে।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাগী প্রকৌশলী কালীকৃষ্ণ পাল বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবগত আছি, দ্রুতই ড্রেন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে।
আজকের সিলেট/ডি/এসটি