মৌলভীবাজারে চলতি সপ্তাহের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনতার সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ-সংঘাত হয় সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের। দিনভর সংঘাতে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের বেপরোয়া হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় এই সংঘাতে শহর জুড়ে চলে ব্যাপক ভাঙচুর।
সবমিলিয়ে গত তিন দিনে পুলিশবিহীন শহরে নিরাপত্তাহীন ও শৃঙ্খলবিহীন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
এমন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শহরের নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নের কাজে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নেতৃত্বে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
বুধবার সকাল থেকে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণসহ পুরো শহরে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে দেখা যায় কয়েকশো শিক্ষার্থী, স্কাউট সদস্যসহ স্বেচ্ছাসেবীদের। এতে দেখা যায় পুলিশবিহীন একটা শহর সুন্দরভাবে তারা নিয়ন্ত্রণ করছেন। শহরের পরিবেশও ধিরে ধিরে নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে শহরের প্রেসক্লাবে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ঘোষণা দেন স্থাপনা রক্ষা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ শহর পরিচ্ছন্নতা অভিযানের।
এদিকে, শহর প্রতিটি মন্দির, সরকারি বেসরকারী স্থাপনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও অরাজকতা ঠেকাতে সেনা টহলের পাশাপাশি মাঠে সক্রিয় রয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাও।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আন্দোলনের সমন্বয়ক তানজিয়া শিশির জানান, আমরা গতরাত থেকে প্রতিটি মন্দিরে পাহারা বসিয়েছি। সার্বিক বিষয়ে সেনাবাহিনীর সাথে আমাদের সমন্বয়কদের বৈঠকের কথা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শহরের প্রতিটি স্থাপনার নিরাপত্তাসহ সড়কের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে যাচ্ছেন আমাদের আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
এদিকে গত দু’দিনে কোথাও পুলিশের দেখা মেলেনি। চিরচেনা শহরের পয়েন্টগুলোতে নেই ট্রাফিক পুলিশ।
আজকের সিলেট/ডি/এপি