হবিগঞ্জে ৭ দফার দাবীতে চা শ্রমিকদের অবস্থান
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৫:৫৩

হবিগঞ্জে ৭ দফার দাবীতে চা শ্রমিকদের অবস্থান

মোহাম্মদ শাহ আলম, হবিগঞ্জ থেকে

প্রকাশিত: ২৪/০৪/২০২৪ ০৩:৪৫:০৩

হবিগঞ্জে ৭ দফার দাবীতে চা শ্রমিকদের অবস্থান


হবিগঞ্জে ৭ দফার দাবীতে অবস্থান, মানববন্ধন ও জেলা প্রসাশক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন চা শ্রমিকেরা।চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দী, লালচান্দ ও মাধবপুর উপজেলার  নোয়াপাড়া চা বাগানের চা শ্রমিক এসব কর্মসুচী পালন করেন।

বুধবার সকাল ১১ থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে  অবস্থান কর্মসুচীও মানববন্ধন পালন করেন। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন চা শ্রমিকরা।

এসময় বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল,  কেন্দ্রীয় চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিন্দ্র গোর,,নোয়াপাড়া চা বাগানের সভাপতি কমেট নায়েক, সাগর বাউরি, খাইরুন আক্তার, অন্তর বাউরি, সুনো নিগম, সুনিল বিশ্বাস, সজল বাউরি, শুকলা ভৌমিক, যমুনা ভৌমিক, আশিষ মুন্ডা প্রমুখ।

বক্তরা বলেন, দেউন্দী টি কোং লি: এর অধীনস্থ দেউন্দী, লালচান্দ ও নোয়াপাড়া চা বাগানে ৩ সপ্তাহ যাবৎ শ্রমিকদের মজুরী, রেশন (তলব) বাগান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অপরিশোধীত রয়েছে। ফলে চা শ্রমিক পরিবারে শিশু, বৃদ্ধসহ শ্রমিকগন অর্ধাহারে অনাহারে দিন যাপন করছেন। এছাড়াও চুক্তির ৪ হাজার টাকা, বাৎসরিক উৎসব বোনাস, মাসিক বেতনধারী কর্মচারীদের বেতন ২ মাস ধরে বন্দ রয়েছে। অবিলম্বে তাদের দাবী না মেনে নিলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেন বক্তরা।

তাদের ৭ দফা দাবি হল- 

১। চলমান ৩ (তিন) সপ্তাহ যাবৎ শ্রমিকদের মজুরী, রেশন (তলব) বাগান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অপরিশোধীত রয়েছে। মজুরী আটক রাখার ফলে চা শ্রমিক পরিবারে শিশু, বৃদ্ধসহ শ্রমিকগন অর্ধাহারে অনাহারে দিন যাপন করছেন। 

২। বাগান কর্তৃকপক্ষ বিসিএস-বিসিএসইউ সম্পাদীত চুক্তির (এরিয়ার) বকেয়া পাওনার তৃত্বীয় কিস্তির মোট- ৪০০০/- (চার হাজার) টাকা আটক রেখেছেন। 

৩। বাগান কর্তৃকপক্ষ বাৎসরিক উৎসব বোনাস ফাগুয়া / দোল পূর্ণীমার বকেয়া বোনাস ১৭০০/- (এক হাজার সাতশত) টাকা আটক রেখেছেন।

৪। চা শ্রমিকদের মজুরী হতে কর্তনকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড এর চাঁদা এবং মালিক পক্ষে অংশসহ মোট ১৮ মাসের পিএফ চাঁদা পিএফ কার্যালয়ে জমাপ্রদান না করার ফলে শ্রমিকগন পিএফ শ্রমিক সুবিধা হতে বঞ্চিত রয়েছে। 

৫। মাসিক বেতনধারী সর্দার, মিস্ত্রি, ড্রেসার, ইলেক্ট্রিশিয়ানদের ২ (দুই) মাস যাবৎ বেতন আটক রেখেছেন।

৬। চা বাগানের দাতব্যচিকিৎসালয় (হাসপাতাল) এর চিকিৎসার ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক, যাথাযথ ঔষদপত্র সরাবরাহসহ সুলভ চিকিৎসা বন্ধ রেখেছেন।

৭। চা শ্রমিকদের বাসস্থান-ঘরবাড়ির দরজা জালানা, ছাউনী ইত্যাদি তৈয়ারী ও পূর্ন মেরামত ব্যবস্থা বন্ধ রেখেছেন।

আজকের সিলেট/প্রতিনিধি/এসটি

সিলেটজুড়ে


মহানগর