ধর্মপাশায় দুই ইজিবাইক চালক খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪:৩০

ধর্মপাশায় দুই ইজিবাইক চালক খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৪/০৫/২০২৪ ০৯:০৪:২৩

ধর্মপাশায় দুই ইজিবাইক চালক খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭


সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় দুই ইজিবাইক হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার এবং চুরি যাওয়া ইজিবাইক ও তার মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ। ধর্মপাশা, নেত্রকোনা ও গাজীপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঘাতকেরা যাত্রী বেশে প্রথমে হুমায়ূন কবির (২০) ও পরে সাইকুল ইসলামকে (২৭) হত্যা করে।

শনিবার দুপুর আড়াইটায় সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গ্রেপ্তারকৃতদের নাম ও ঘটনার রহস্য প্রকাশ করেন সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাজন কুমার দাস।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার সদর ইউনিয়নের দুধবহর গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন দিলু (৩০), রফিকুল ইসলামের ছেলে আজিম উদ্দিন (২৫), রফিকের ছেলে নুরুল আমীন (২২), ময়না মিয়ার ছেলে রুবেল (২২), আবুল কাসেমের ছেলে জাকিরুল ইসলাম ইমুল (২৪), দক্ষিণ নোয়াগাঁও গ্রামের স্বপন মিয়ার ছেলে কাউছার নিয়াশ (২৫) এবং নেত্রকোনা জেলার সদর থানার ঠাকুরাকোনা গ্রামের মৃত গোলম রব্বানীর ছেলে সেলিম মিয়া (৩৫)।

হুমায়ূন সদর ইউনিয়নের দশধরী গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে ও সাইকুল একই ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের কারি মিয়া খানের ছেলে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ হুমায়ূন ও ৮ এপ্রিল সাইকুল তাদের ইজিবাইকসহ নিখোঁজ হয়। ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় দেলোয়ারের নেতৃত্বে আসামি রুবেল হুমায়ূনের ইজিবাইক দিয়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ইজিবাইক ভাড়া করে এবং কান্দাপাড়া এলাকার নিমাইকোনা বিলে ধান ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে দেলোয়ার তার সাথে থাকা গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা হুমায়ূনকে হত্যা করে সেখানে ফেলে রেখে আসে। পরে রুবেল ও জাকিরুল সেলিমের কাছে ৩০ হাজার টাকায় ইজিবাইকটি বিক্রি করে।

৮ এপ্রিল দুপুর ২টার দিকে রুবেল ও জাকিরুল সাইকুলের ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে নেত্রকোনার ঠাকুরকোনা বাজারে সেলিমের দোকানে যায়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর আতকাপাড়া গ্রাম সংলগ্ন মৎস খামারের কাছে আসে। সেখানে আগে থেকেই  দেলোয়ার, নুরুল, কাউছার নিয়াশা, আজিম অবস্থান করছিল। সাইকুল ঘাতকদের পরিচিত হওয়ায় ইজিবাইকটি সড়কের পাশে রেখে সাইকুলকে সাথে নিয়ে গাঁজা সেবনের উদ্দেশ্যে মৎস খামারের উত্তর পাশে যায়। সেখানে তারা কিছুক্ষণ গাঁজা সেবনের পর রুবেল সুযোগ বুঝে তার কোমরের বেল্ট খুলে দেলোয়ায়ের হাতে দেয়। সে সময় অতর্কিতভাবে দেলোয়ার সাইকুলের গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সেখানে ফেলে রেখে যায়। পরে সাইকুলের ইজিবাইকটি রুবেল ও জাকিরুল সেলিমের কাছে নিয়ে ৩৭ হাজার টাকায় বিক্রি করে।

১৫ এপ্রিল আতকাপাড়া গ্রাম সংলগ্ন এলাকা থেকে সাইকুল ও ২৫ এপ্রিল কান্দাপাড়ার নিমাইকোনা বিল থেকে হুমায়ূনের মাথার খুলিসহ হাড় উদ্ধার করে পুলিশ।

আজকের সিলেট/প্রতিনিধি/এসটি

সিলেটজুড়ে


মহানগর