
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে নাকের এক পাশ বন্ধ হয়ে গেল নেহার। অফিসে এসেই তিনি আর কাজে মন দিতে পারছেন না।
তার শ্বাস নিতেও সমস্যা হচ্ছে। নেহার মতো এমন সমস্যায় পড়লে অনেকেই আবার বন্ধ নাক খোলার জন্য বিভিন্ন ড্রপ ব্যবহার করে থাকনে। এতে কিছুটা সুফল পাওয়া যায়, তা নয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, হঠাৎ ঠান্ডা লাগা, অ্যালার্জি, পলিপ বা সাইনাসের মতো রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। নাসারন্ধ্র বন্ধ হওয়ার নেপথ্যে এসব কারণ থাকতে পারে। ঘুম থেকে উঠে বা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময়ে যদি নাক বন্ধ হয়ে যায়, শ্বাস নিতে সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু উপায়ের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
* ঝাল খাবার
বেশি ঝালযুক্ত বা মসলা দেওয়া খাবার পেটের পক্ষে ভালো নাও হতে পারে। তবে বন্ধ নাক খোলার দারুণ টোটকা হতে পারে এটি। পুষ্টিবিদরা বলছেন, আদা-রসুন-পেঁয়াজ-শুকনা মরিচ দেওয়া খাবার খেলে দেহের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। নাসারন্ধ্রে জমে থাকা সর্দি, শ্লেষা তরল হয়ে যায়। যদিও তার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি নয়। তবু ঘরোয়া এই টোটকায় অনেকেরই কাজ হয়।
* হিউমিডিফায়ার
সর্দিতে নাকের ভেতরের সূক্ষ্ম ঝিল্লি বা পর্দাগুলো ফুলে যায়। প্রদাহের কারণেও শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। বাতাসে আর্দ্রতার অভাব হলেও অনেক সময়ে নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ঘরে ‘হিউমিডিফায়ার’ নামক যন্ত্র রাখলে এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলতে পারে। ঘরের ভেতরের বাতাস তৎক্ষণাৎ আর্দ্র করে দিতে পারে এই যন্ত্রটি। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সুবিধা হয়।
* গরম পানির ভাপ
বন্ধ নাক খোলার বহু পুরোনো এবং সহজ পন্থা হলো গরম পানির ভাপ নেওয়া। বাড়িতে স্টিম যন্ত্র না থাকলে বড় গামলায় ফুটন্ত পানি নিন। তার ওপর মুখ ঝুঁকিয়ে বসে থাকুন বেশ কিছুক্ষণ। একটানা গরম ভাপ নিতে না পারলে মিনিট দুয়েকের বিরতি নিন। তার পর আবার ভাপ নিতে শুরু করুন।
আজকের সিলেট/ডি/এসটি
