হিজড়াদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ মানুষ
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:২২

হিজড়াদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০২/১২/২০২৪ ১০:৩৭:৪৯

হিজড়াদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ মানুষ


সিলেটে বরযাত্রী, বিদেশ-যাত্রী ও পর্যটকদের কাছে আতঙ্কের অপর নাম ‘হিজড়া’। অযৌকক্তিক চাঁদা দাবি, জোড়পূর্বক নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ খারাপ ও অশোভন আচরণ থেকে রেহাই পান না কেউই। জাফলংয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে আগত পর্যটক, সাধারণ পথচারি, দোকানদার এমনকি যানবাহন চাকলদের গুনতে হয় হিজড়াদের চাহিদা মতো চাঁদা। এমনকি দিতেও বাধ্য হয়। তা না হলেই নানাভাবে নাজেহাল হতে হয় তাদের কাছে।

এরা নামধারী হিজড়া তাদের অনেকের বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। আবার অনেকের বিয়ের জন্য পাত্রি খুঁজছেন। এরা জন্মগত ভাবে কোন হিজড়া নয়। এরা নিজেদের মেয়েলি স্বভাবের মনে করে তাই তারা নিজেকে হিজড়া হিসাবে তৈরি করেছে। মেডিসিন সেবনের মাধ্যমে নিজের দেহ পরিবর্তন করছেন। আবার কিছু সংখ্যক লোক সার্জারির মাধ্যমে নিজের লিঙ্গ কর্তন করেছেন। নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন আসল হিজড়া। সত্যিকার অর্থে সিলেটে কোন অরিজিনাল হিজড়া নেই। সমাজসেবা স্বীকৃতি দিয়েছে তাদেরকে হিজড়া। এই পরিচয়ে তারা চলা ফেরা করছেন।

নগরীসহ পুরো বিভাগে চলছে তাদের চাঁদাবাজি। বর্তমানে এদের যন্ত্রণায় অতিষ্ট সিলেটবাসী। সম্মানের ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করায় দিন দিন তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এদেরকে গণপিটুনি দিয়ে প্রতিহত করতে হবে। এই হিজড়া নামধারীদের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সকলের কর্তব্য। এরা সুস্থ সবল পুরুষ হয়ে তারা কোন কাজ না করে নারীদের বেশ ধরে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছে।

২০২০ সালে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর নির্দেশনায় হিজড়া নামধারীদের চাঁদাবাজি বন্ধে অভিযান করেছে জেলার প্রতিটি থানা পুলিশ। এরপর জেলা এলাকায় তাদের চাঁদাবাজি কিছুটা বন্ধ হয়। কিন্তু পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের বদলির পর এরা পূনরায় শুরু করে চাঁদাবাজি। এদের যন্ত্রণায় অতিষ্ট মানুষ।

সিলেটের সাংবাদিক মশাহিদ আলী বলেন, গত মঙ্গলবার জগন্নাথপুর উপজেলার একটি কমিউনিটি সেন্টারে তার ভাইয়ের বিয়ে ছিলো। বিয়ের খবর শুনে বিশ্বানাথের হিজড়া নামধারী মালেকার নেতৃত্বে ৪-৫জনের একটি দল আমাদের বাড়িতে এসে তাদেরকে ২ হাজার টাকা দিতে দাবি করে। প্রথমে ৫০০ টাকা দিলেও নিতে রাজি হয়নি। তখন মালেকা বলে তাদেরকে ১৫০০ টাকা দিয়ে দিলে বিশ্বনাথ উপজেলার মধ্যে তার দলের আর কেউ আটকাবে না। পরে তাদেরকে ১৫০০ টাকা দেই।

তিনি বলেন, আমরা বরযাত্রী নিয়ে মিয়ারবাজার এলাকায় যাওয়া মাত্র মুন্নি নামে আরেক হিজড়া জগন্নাথপুরের জব্বারের লোক বলে পরিচয় দেয়। আমরা বাড়িতেও টাকা দিয়েছি বলে চাঁদা দিতে অপরগতা প্রকাশ করি। সাথে সাথে এরা গাড়ীর সামনে উলঙ্গ হওয়ার চেষ্টা করে সেও মালেকার মতো তাকে টাকা দিয়ে দিলে কেউ আর সেন্টারে যাবে না। তখন তাকে ৬০০ টাকা দেই।কিন্তু মুন্নিও ছিল মালেকার লোক। পরবর্তীতে সেন্টারে জব্বারের একটি পার্টি আসে তখন প্রতিবাদ জানালে তারা অশ্লীল ভাষা শুরু করে। সম্মানের ভয়ে তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে বাধ্য হই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার এক হিজড়া নেত্রী বলেন, হিজড়া কেন চাঁদাবাজি করবে। আমাদের ঢাকার কোন হিজড়া কখনো বিয়ের গাড়ী আটক করে না। যারা মানুষের শুভ কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্ষ্যবদ্ধ ভাবে প্রতিবাদ গড়ে তোলেন। এরা কাজ করে খায় না কেন। হিজড়াদের কাজ কি শুধু চাঁদাবাজি করা? হিজড়াদের জন্য সরকারি অনেক সুবিধা রয়েছে। চাঁদাবাজি করবে কেন? যারা চাঁদাবাজি করে এদেরকে আইনের হাতে তোলে দেন।

সিলেটের একাধিক হিজড়ার সাথে আলাপকালে বেরিয়ে এসে অজানা তথ্য। জানা গেছে, হিজড়ারা তাদের রূপ বদলের পাশাপাশি তারা নিজের নাম পরিবর্তন করেন। তাদেরকে মহিলা নামেই মানুষ ডাকে। কিন্তু তাদের গ্রামের বাড়িতে রয়ে যায় পুরুষ নাম। যেমনই নাম পরিবর্তন করেছেন সিলেটর হিজড়া নামধারী চাঁদাবাজ আব্দুল্লাহ। সে নাম মহিলা নাম দিয়েছে বিউটি। তাকে দেখতে ভয়ংকর ও তার চেহরা কালো বিদায় সবাই তাকে কালী নামেই ডাকেন। বাবুল থেকে বাবলী তারাই মেয়ের জামাই ভাই ওলিউর রহমান রাসেল তার মহিলা নাম লিপি, জামাল নাম দিয়েছে জামিলা, রানা নাম দিয়েছে রানী, ফুহাদ নাম দিয়েছে কারিশমা, মুজিব থেকে মজিয়া, আয়াত আলী থেকে আধুরি এভাবেই সিলেটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই চক্রটি। 

এমন কোন খারাপ কাজ নেই যে তারা করে না। চুরি, ছিনতাই, খুনসহ সকল প্রকার অপরাধে লিপ্ত এরা। এদের আস্তানা সিলেট নগরীর কদমতলী বালুর মাঠে গড়ে উঠেছে ভয়ংকর এক পতিতা পল্লী। যেখানে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিকেও হার মানাবে। সারাদিন চলে জুয়া আর সন্ধ্যা হলেই শুরু হয় যৌনতার মতো ভয়াবহ অপরাধ। এই সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করছেন বিউটি ডাক নাম কালী হিজড়া। বালুর মাঠের সকল অপরাধের মূলহোতা কালী হিজড়া। তাকে কালী হিজড়া নামে সবাই চিনে। সম্প্রতি সে নিজের লিঙ্গ কর্তন করে আব্দুল্লাহ থেকে বিউটি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই শুরু হয় নির্যাতন। সিলেটে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে আব্দুল্লাহ থেকে বিউটি বনে যাওয়া ময়মনসিংহের এক পুরুষ। সে আব্দুল্লাহ থেকে বিউটি হয়ে সিলেটে বেপরোয়া হিজড়া নামধারী চাঁদাবাজি করে চলেছে। তার এই চক্রের সদস্যরা দিন দিন ভয়ংকর রূপ ধারণ করছেন। এদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রকাশ্যে অপরাধ করছে।

সিলেট নগরীর কদমতলী বালুর মাঠে গড়ে তোলেছে ভয়ংকর এক পতিতা পল্লী। যেখানে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিকেও হার মানাবে। সারাদিন চলে জুয়া আর সন্ধ্যা হলেই শুরু হয় যৌনতার মতো ভয়াবহ অপরাধ। এই সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করছেন বিউটি ডাক নাম কালী হিজড়া। বালুর মাঠের সকল অপরাধের মূলহোতা কালী হিজড়া। তাকে কালী হিজড়া নামে সবাই চিনে। সম্প্রতি সে নিজের লিঙ্গ কর্তন করে আব্দুল্লাহ থেকে বিউটি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই শুরু হয় নির্যাতন। তার চেহরা দেখতে যেমন তার চেয়ে বেশি ভয়ংকর সে। 

সিলেটের সকল হিজড়াদের দিয়ে শুরু করেছে যৌনকাজ ও চাঁদাবাজি। কেউ তার কথার অবাধ্য হলেই শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। সিলেট জেলার প্রতিটি থানায় তার হিজড়া বাহিনী রয়েছে। এদের মধ্যে বেশি হিজড়াদের লিঙ্গ কর্তন করিয়েছে। এরা যাতে সহজে পুরুষের সামনে উলঙ্গ হয়ে নিজেকে হিজড়া পরিচয় দিতে পারে। 

এই আব্দুল্লাহ থেকে বিউটির সাথে রয়েছে একটি ভয়ংকর অপরাধী চক্র। এই চক্রের আস্তানা নগরীর কদমতলী বালুর মাঠে দ্রুত অভিযান দিয়ে এদের উচ্ছেদ করা সময়ের দাবি বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এরাই পুরুষাঙ্গ কর্তনের মাধ্যমে হিজড়া তৈরির সাথে জড়িতরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিজেরা যেমন অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে, তেমনি স্স্থু স্বাভাবিক পুরুষকে প্ররোচনার মাধ্যমে পুরুষাঙ্গ কর্তনের পর নামিয়ে দিচ্ছে হিজড়াবৃত্তিতে। সম্প্রতি সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিন সুরমা ও কোতোয়ালি থানায় এমন অভিযোগে দুটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) দায়ের করেছেন দুই ভুক্তভোগী। তারা হলেন নগরীর সুরমা মার্কেট এলাকার জলফু মিয়ার সন্তান সূচনা ইসলাম ও এয়ারপোর্ট থানার বাদামবাগিচা এলাকার বাসিন্দা পাপু।

সূচনা ইসলাম ও পাপু তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় তারা এই দুইজনকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে গেছে। এমনকি তাদেরকে মারধর করে কদমতলী বালুর মাঠে আটকে রেখেছে। ফলে আর কোন হিজড়া নেই তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে। এখন তাদের একক রাজত্ব গড়ে উঠেছে। রানা ভূইয়া নামের তৃতীয় লিঙ্গের আরেক লোক তাদের এই অপরাধের প্রতিবাদ করে তিনি এখন তাদের নির্যাতনে আহত হয়ে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের ভয়ে তিনি কোন হাসপাতালে ভর্তি হতে পারছেন না। তারা তাকে নির্যাতন করে তার মোবাইল টাকা ও মূল্যভান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়েছেন।

জানা গেছে, সূচনা ইসলাম গত ৩১ অক্টোবর সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় দায়েরকৃত সাধারণ ডায়রিতে উল্লেখ করেন, দক্ষিন সুরমার কদমতলী বালুরঘাট এলাকার জামিলা হিজড়া, কালি হিজড়া, আব্দুস সামাদ রাজ, লিপি ও কারিশমা হিজড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে নিয়ে সহজ সরল ছেলেদের ফুঁসলিয়ে এবং কৌশলে নানা ভীতি প্রদর্শন করে পুরুষাঙ্গ কর্তনের মাধ্যমে হিজড়া হিসাবে জীবন-যাপনে বাধ্য করছে।

পুরুষাঙ্গ কর্তনের পর তাদের দিয়ে মাদক সেবন, মাদক পরিবহন, মাদক ব্যবসা ও দেহ ব্যবসার মতো জঘন্য কাজে লিপ্ত করে নিজেরা হাজার হাজার টাকা কামাই করছে বলে অনেক হিজড়ার কাছ থেকে তিনি জেনেছেন।

অভিযুক্তরা হিজড়াদের দিয়ে পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে রাজপথ বা ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে বাসা-বাড়িতেও চাঁদাবাজীতে নিয়োজিত করছে। এমনকি রাস্তায় বিয়ের গাড়ি থামিয়ে বা বিয়েবাড়ি, কমিউনিটি সেন্টারে হানা দিয়ে  বর-কনেকে অপদস্ত করে চাঁদা আদায় করছে তারা।

সূচনা সুরমা মার্কেটস্ত দাওয়াতুল কোরআন তৃতীয় লিঙ্গের মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থী হিসাবে বিপথগামী হিজড়াদের সৎপথে ফিরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কাজ করছেন জানিয়ে জিডিতে উল্লেখ করেছেন, এসব কাজ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩১ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে রিকাবিবাজার থেকে কিশোর গ্যাং দিয়ে তাকে অপহরনের চেষ্টা করে। স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি রক্ষা পেলেও জামিলা, কালি, রাজ, লিপি ও কারিশমা হিজড়া অজ্ঞাতনামাদের নিয়ে যখন তখন তার উপর হামলা বা তাকে অপহরন করতে পারে বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে আইনী সহযোগিতা চেয়েছেন। এদিকে দক্ষিণ সুরমা থানায় এরকম একটা অভিযোগ দায়ের করেছেন নগরীর বাদামবাগিচা এলাকার পাপু।

তিনি তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, কদমতলি বালুরমাঠ এলাকার কালী হিজড়া, লিপি হিজড়া, জমিলা হিজড়া, ইমা হিজড়া (৩০), সানজিদা হিজড়া অজ্ঞাতনামা আরও  কয়েকজন হিজড়া ৩ বছর আগে তাকে ফুসলিয়ে এবং নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে বিভ্রান্ত করে তার পুরুষাঙ্গ কর্তন করতে বাধ্য করে।

এরপর সাদা কাগজে জোরপূর্বক তার স্বাক্ষর নিয়ে তাকে দিয়ে নানা অপকর্মের মাধ্যমে টাকা রোজগার করে সেগুলো নিজেরাই আত্মসাৎ করতে থাকে। কোনো প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে নির্য্যাতনের খড়গ। 

সম্প্রতি তারা তাকে মারধোর ও তার কদমতলির বাসায় লুটপাট করে হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেয় ও জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। তিনি তার নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং তাদের অপকর্ম প্রতিরোধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে এসএমপির মূখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আলোকিত সিলেটকে বলেন, বিষয়টি আমার নজরেও এসেছে। কমিশনার স্যারেরে সাথে কথা বলে।প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেয়া হবে।

তার অভিযোগের ব্যাপারে দক্ষিন সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, এরকম অভিযোগের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটা মেডিক্যাল বোর্ড আছে। তাদের সার্টিফিকেট নিয়ে অভিযোগ করে থাকলে আমরা বিষয়টা দেখবো। তবে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি তিনি তাৎক্ষনিক নিশ্চিত করতে পারেন নি।

আর কোতোয়ালি থানায় দায়েরকৃত সূচনা ইসলামের অভিযোগ প্রসঙ্গে কোতোয়ালি থানার ওসি জিয়াউল হক বলেন, বিষয়টি খুবই সেনসিটিভ। গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত প্রায় শেষের দিকে।

আজকের সিলেট/ডি/এসটি

সিলেটজুড়ে


মহানগর