
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছেন নির্বাচন কমিশন। আগামী ৪ মে বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ, ১১ মে চুনারুঘাট, বাহুবল ও নবীগঞ্জ উপজেলা এবং ১৮ মে মাধবপুর, শায়েস্থাগঞ্জ, সদর ও লাখাই উপজেলায় নির্বাচনের ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক নৌকা না দেওয়ার ঘোষণায় তফসিল ঘোষণা না হলেও জমে উঠেছে হবিগঞ্জে ৯টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন। হবিগঞ্জে নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীরা দিনরাত চষে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। নতুন প্রার্থীরা দিচ্ছেন নানারকম প্রতিশ্রুতি আর পুরাতনরা তাদের উন্নয়নের কর্মকান্ড ভোটারদের সামনে তুলে ধরছেন।
এদিকে, অবাধ সুষ্ট ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষে জেলা নির্বাচন অফিস ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হওযায় নতুন পুরাতন মিলে জেলায় প্রায় ৫০ প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। ইতিমধ্যে অনেকে আনুষ্ঠানিরকভাবে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন, আবার অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা দিয়ে সরগরম রেখেছেন।
তবে ভোটাররা মনে করছেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হওয়ায় এবার ভোটের মাঠে লড়াই হবে। যদিও দলীয়ভাবে বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা দেয় নাই, তথাপিও মাধবপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা এস এম শাহজাহান নিজের প্রার্থীতা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন। এখানে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম, মুজিব উদ্দিন তালুকদার ওয়াসিমসহ আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন।
চুনারুঘাট উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর নির্বাচন করবেন কি না আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের, তরুণ উদ্ধোক্তা রায়হান উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফুর রহমান চৌধুরী, বিএনপি নেতা সৈয়দ লিয়াকত হাছানসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী মাঠে কাজ করছেন। বাহুবল উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হাই, আব্দুল কাদির চৌধুরী, শিল্পপতি আনোয়ার হোসাইন ও বর্তমান সংসদ সদস্যের ভাই রাজন চৌধুরী নির্বাচনী এলাকায় মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন।
নবীগঞ্জ উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান সেফু, আওয়ামী লীগ নেতা বুলবুল চৌধুরী, এড.সুলতান মাহমুদ, বুরহান উদ্দিন চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুর রহমান মুকুল, জাতীয় পার্টির শাহ আবুল খয়ের গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। বানিয়াচং উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মাষ্টার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান, দেওয়ান শুয়েব রাজার নাম আলোচনায় রয়েছে।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান মত্তুর্জা হাসান, সাংবাদিক চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ, আওয়ামী লীগ নেতা আলা উদ্দিন, ডাঃ লোকমান মিয়া, আকবর হোসেন, জামায়াত নেতা ডাঃ রেজাউল করীমসহ কয়েকজন প্রার্থী মাঠে আছেন। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বেলালসহ অনেকে মাঠে কাজ করছেন।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান শামীমসহ একাধিক প্রার্থী রয়েছেন।
লাখাই উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান এড. মুশফিউল আলম আজাদ, আওয়ামী লীগ নেতা আমিরুল ইসলাম আলম, রফিক আহমেদ, মাহফুর রহমান মাহফুজ, যুবলীগ নেতা ইকরামুল মজিদ শাকিলসহ প্রায় অর্ধডজন প্রার্থী।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানান, অবাধ সুষ্ট ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের লক্ষে কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের সব ধরণের প্রস্তুতি চলছে। এ বছর জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৭লাখ ১হাজার ৭শ ৩২জন। পুরুষ ৮লাখ ৫৯হাজার ৫শ ২২জন, মহিলা ৮লাখ ৪২হাজার ২শ ১০জন।
আজকের সিলেট/ডি/এসটি
