পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে কঠোর নগর কর্তৃপক্ষ
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৩

পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে কঠোর নগর কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬/০২/২০২৪ ০৬:১৫:৩৬

পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে কঠোর নগর কর্তৃপক্ষ


পরিচ্ছন্ন সিলেট নগরী গড়তে এবার কঠোর অবস্থান নিয়েছে  সিসিক কর্তৃপক্ষ।  এ বিষয়ে নগরজুড়ে মাইকিং করা হচ্ছে।

সোমবার দুপুরে এমন মাইকিং করতে দেখা যায় নগরের বিভিন্ন স্থানে।

মাইকিংয়ে সিসিক’র পক্ষ থেকে ঘোষিত  নির্দেশনায় বলা হয়- মহানগরের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জন রাত ১০টার মধ্যে নিকটস্থ ডাস্টবিন বা নির্ধারিত স্থানে ময়লা রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই বর্জ্য বাইরে ফেলা যাবে না।

ঘোষণায় আরও বলা হয়- নির্দেশনা না মানলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা অনুযায়ী আইন অমান্যকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দুই বছরের কারাদণ্ড বা দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।

এছাড়া সিসিকের অনুমতি ব্যতিত দেওয়াল লিখন বা বিদ্যুতের খুঁটিতে পোস্টারিং করা যাবে না। যাবে না যত্রতত্র ব্যানার-ফেস্টুন টানানো। তবে প্রয়োজনে সিসিকের অনুমতি নিয়ে যথাযথ নিয়ম মেনে বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে। বিনা অনুতমিতে বিজ্ঞাপন দিলে দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে  আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সিসিক।

সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নির্বাচনের আগে তাঁর ইশতেহারে বলেছিলেন- ‘আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা আমার লক্ষ্য। নগর পরিচ্ছন্ন রাখতে ও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও দাতাদের সহায়তা নেওয়া হবে। ময়লা-আবর্জনা ও দুর্গন্ধ থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে পর্যায়ক্রমে সড়ক থেকে ময়লার ভাগাড়গুলো (ডাস্টবিন) সরিয়ে নেওয়া হবে। এর পরিবর্তে এলাকাভিত্তিক ময়লা সংরক্ষণ (ডাম্প) কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।’

সিসিক সংশ্লিষ্ট সূত্র  জানায়- মহানগরের প্রতি এলাকায় ৪-৫টি দোকান মিলিয়ে একটি করে ডাস্টবিন দেওয়া হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য। এক চলমান রয়েছে। পাশপাশি এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাইকিং করা হচ্ছে। সব এলাকায় এভাবে ডাস্টবিন দেওয়ার পর নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজকের সিলেট /কে.আর

সিলেটজুড়ে


মহানগর