তীব্র খরতাপের পর শক্তিশালী বৃষ্টিবলয়ের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তিক জনপদ সিলেট।তীব্র বজ্রপাত, কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কার পাশপাশি রয়েছে ছোট থেকে মাঝারি ধরণের বন্যার।এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) নামের একটি বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ।
আবহাওয়া অবজারভেশন টিম জানায়, আজ রোববার থেকে ১৫ মে পর্যন্ত বাংলাদে বৃষ্টিবলয় সক্রিয় থাকবে। এই ১০ দিনে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিবলয় থাকবে সিলেট বিভাগে ।
বিডব্লিউওটি’র প্রধান খালিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, বৃষ্টিবলয় প্রথমদিকে দেশের পূর্ব অঞ্চলে বেশি সক্রিয় থাকতে পারে এবং পরবর্তী সময়ে দেশের বাকি এলাকায় সক্রিয় হতে পারে। এই বৃষ্টিবলয় রোববার (৫ মে) সিলেট বিভাগের পশ্চিম অংশ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে এবং ১৫ মে সিলেট হয়ে দেশ ছাড়তে পারে। বৃষ্টিবলয় চলাকালীন সিলেট বিভাগের অনেক এলাকায় একটানা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই সময়ে সিলেটের নিম্নাঞ্চলে সাময়িক বন্যারও আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া গবেষক খালিদ হোসেন আরেও জানান, বৃষ্টিবলয়ের অবস্থানকালীন ১০ দিনে সবচেয়ে বেশি সিলেট বিভাগে কম-বেশি ১৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। অধিকাংশ বৃষ্টিপাত বিকেল থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত রাতে হতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানায়, এই মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসে দেশে ৩ থেকে ৫ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় এবং ২ থেকে ৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে।
তিনি জানান, মে মাসেও দেশের কোথাও কোথাও ১ থেকে ৩টি মৃদু, মাঝারি এবং ১ থেকে ২টি তীব্র তাপপ্রবাহ বইতে পারে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে ১টি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এছাড়া মে মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলো স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে। তবে উজানে ভারি বৃষ্টির ফলে দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চালের নদীগুলোর পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কিছু স্থানে বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে।
আজকের সিলেট/ডেস্ক/কে.আর