বিমানবন্দরে আটকে গেলেন শমসের মবিন
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ১০:১৯ PM

বিমানবন্দরে আটকে গেলেন শমসের মবিন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭/১০/২০২৪ ০৯:৩৪:১৭ AM

বিমানবন্দরে আটকে গেলেন শমসের মবিন


তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীকে বিদেশ যেতে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। শমসের মবিন স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যেতে চেয়েছিলেন।

গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়।

শমসের মবিন চৌধুরী জানান, তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য তাঁদের দুপুরে থাই এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিল। থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তাঁর স্ত্রী ডাক্তারের কাছে অ্যাপয়েন্টমেন্টও নিয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় রেখেও তাঁদের বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে বসেছিলেন জানিয়ে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, সেখানে বসার পর তাঁদের দুজনকে পাসপোর্টের ফটোকপি দিতে বলা হয়। ফটোকপি দেওয়ার পর আর কারও হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ইমিগ্রেশন অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে ছাড়পত্র পাওয়া গেলেও আরেকটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পাওয়া যায়নি।

এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টাকে কল করলে তিনি এই বিষয় দেখেন না জানিয়ে বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। পরে স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিদেশ যেতে কোনো বাধা নেই বলে জানান। এরপর ইমিগ্রেশন অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা কোনো নির্দেশনা পাননি বলে জানান।

পরে একটি গোয়েন্দা সংস্থার এক পরিচালককে কল করেন জানিয়ে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘আমি যখন বলেছি আমার স্ত্রী একা যেতে পারলেও সমস্যা নেই। প্রয়োজনে আমি দু–তিন দিন পরে যাব। এরপর গোয়েন্দা সংস্থার ওই পরিচালক জানান, আপনার স্ত্রী যেতে পারেন কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এরই মধ্যে বিমান চলে গেছে। আমার স্ত্রীও যেতে পারেননি।’

বিদেশ যেতে যাতে বাধা না দেওয়া হয়, এ জন্য ২০১০ সালে আদালত থেকে একটি আদেশ আছে জানিয়ে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, এরপরও তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছে। এটি আদালত অবমাননা। আদালতের আদেশের কপি তিনি স্বরাষ্ট উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে পরিষ্কার উত্তর না পেলে তিনি আদালত অবমাননার মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ২০১৫ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর ২০১৮ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দেন তিনি।

সবশেষ গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন হন তিনি। তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত নাজমুল হুদা। গত জাতীয় নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

আজকের সিলেট/ডি/এসটি

সিলেটজুড়ে


মহানগর