মনোনয়ন দৌঁড়ে সফল মুক্তাদির, কী করবেন বঞ্চিত আরিফ?
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:১৫ AM

মনোনয়ন দৌঁড়ে সফল মুক্তাদির, কী করবেন বঞ্চিত আরিফ?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৪/১১/২০২৫ ০৯:৩৬:৫৫ AM

মনোনয়ন দৌঁড়ে সফল মুক্তাদির, কী করবেন বঞ্চিত আরিফ?


আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সাবেক মেয়র ও বিএনপির জনপ্রিয় মুখ আরিফুল হক চৌধুরী। সম্প্রতি ঘটনা করে শো ডাউন দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণাও শুরু করেছিলেন তিনি। দলের গ্রিন সিগন্যালের কথাও উঠেছিল আরিফ অনুসারীদের মুখে।

এসময় নীরব ছিলেন অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। শোডাউন ও আনিুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা না দিয়েই নীরবে কাজ করে যাচ্ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত দলও ভরসা রেখেছে তার উপর। সিলেট-১ আসনে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে চূড়ান্ত করেছে দল।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসন অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ আসন। দেশের রাজনীতিতে একটি প্রবাদ রয়েছে—সিলেট-১ আসন যার, সরকার তার। অর্থাৎ সিলেট-১ আসনে যে দল নির্বাচিত হবে, সেই দলই সরকার গঠন করবে। যে কারণে আসন্ন নির্বাচন ঘিরে এই আসনটি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছিল। এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও আরেক উপদেষ্টা সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

আরিফুল হক কয়েক দফায় আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। স্থানীয় পর্যায়ে সমর্থন জোগাড়েও ছিলেন বেশ সক্রিয়। তার ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছিলেন, নগরীর তৃণমূল বিএনপি ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আরিফুলের গ্রহণযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি।

তবে শেষ পর্যন্ত দল বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের ওপরই আস্থা রেখেছে দল। মুক্তাদির ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। তিনি ওই নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে পরাজিত হন। তবে ভোটে কারচুপি ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সে সময় ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন মুক্তাদির।

গতবছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে পাওয়ায় সিলেট-১ আসনে বিএনপির সুযোগ তৈরি হয়েছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীও এই আসনে থাকলেও বরাবরই মূল আলোচনায় থাকেন বিএনপি প্রার্থীরা। এজন্যই এই আসন নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের দুই উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও আরিফুল হক চৌধুরী সরব ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন পেতে দুজনেই ছিলেন বেশ তৎপর। তবে আরিফ একাধিকবার দলের গ্রিন সিগন্যালের কথা বললেও নীরব ছিলেন মুক্তাদির।

সিলেট-১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘আমি দলের সিদ্ধান্ত নিয়েই আগে থেকে কাজ শুরু করেছি। আজ দল প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছে। এজন্য দলের প্রতি কৃতজ্ঞ। বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে ও নির্বাচনের লক্ষ্যে দল যাদের মনোনীত করেছে, সবাই তাদের হয়ে কাজ করবেন। বিএনপি একটি সুশৃঙ্খল দল। দলের যে কোনো প্রয়োজনে বিএনপি সবসময়ই ঐক্যবদ্ধ।’

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে আরিফুল হক চৌধুরী বলেছিলেন, দল যদি মুক্তাদিরকে মনোনয়ন দেয় তবে আমি সবার আগে তার পক্ষে মাঠে নামবো। ধানের ছড়ার (শীষ) পক্ষে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ।

আজকের সিলেট/ডি/এসটি

সিলেটজুড়ে


মহানগর