ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের বাজার
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:২০ PM

ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের বাজার

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯/০৮/২০২৫ ০৯:৩৬:২০ AM

ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের বাজার


এ সপ্তাহে দাম বেড়েছে সবজী, পেঁয়াজ, ডিম, মুরগি, চালসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের। এতে করে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। দ্রব্যমূল্য এভাবে বাড়তে থাকলে চরম সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নগরীর বেশ কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির বাজারে দাম বেশি কাঁচা মরিচের। পাইকারী বাজারে কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা হলেও খুচরা বাজারে মরিচের কেজি ২১০-২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা, বরবটি, কাঁকরোলের দাম ৮০ থেকে ১২০ টাকা।টমেটো ১৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি। বেগুনের দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়ে ১০০-১৫০ টাকায় উঠেছে। দেশি শসার কেজি ১০০ টাকার বেশি, কচুর ছড়া ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ঝিঙ্গে প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজি সরবরাহ কমে আসায় দাম বেড়েছে। এছাড়া দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। স্থানভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।

ক্রেতারা বলছেন, কদিন আগেও তারা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনেছেন। হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা উদ্বিগ্ন ।

গত এক মাসে বাজারে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে৷ জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশে, জুনে যা ছিল ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

এছাড়া চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। গত সপ্তাহের ১৬০ টাকা কেজির মুরগি স্থানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। দাম বাড়তি সোনালি মুরগির। ৩০০ টাকা কেজির পাকিস্তানি সোনালি মুরগি এসপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায়।

মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে ডিমের। পাইকারি দামে ডজনপ্রতি ব্রয়লার বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। খুচরা বাজারে ডিমের দাম ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। সাদা ডিমের দাম কিছুটা কম; ডজনপ্রতি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা।

চালের দামও ঊর্ধ্বমুখী। মাস দেড়েক ধরে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে চাল। মোটা চালের দামই এখন ৬০ টাকার বেশি। মাঝারি মানের এক ধরনের কিছু মিনিকেট ও নাজির রয়েছে, যেটা শুধু ৬৫-৭০ টাকায় পাওয়া যায়। এ ছাড়া বাকি সব চালের দাম সাধারণত ৭৫-৮৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর খুব ভালো মানের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চালের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা ছুঁইছুঁই করছে।

অন্যদিকে, সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ময়দা (খোলা), সয়াবিন তেল (লুজ), পাম অয়েল লুজ, সুপার পাম অয়েল লুজ, মসুর ডাল (মাঝারী, ছোট), মুরগী ব্রয়লার পেঁয়াজ (দেশি), রশুন (আম), আদা (আম), এলাচ এবং ডিমের দাম বেড়েছে। আর আলু, রসুন (দেশি), এম এস রডের (৬০, ৪০ গ্রেড) দাম কিছুটা কমেছে।

ফলে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির সাধারণ ক্রেতারা পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেকেই বাধ্য হচ্ছেন প্রয়োজনীয় পণ্যের পরিমাণ কমিয়ে আনতে। বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে বিক্রেতারা সরবরাহ সংকটের কথা বললেও, ক্রেতাদের অভিযোগ-বাজার মনিটরিংয়ের ঘাটতির সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা আদায় করা হচ্ছে।

আজকের সিলেট/ডি/এসটি

সিলেটজুড়ে


মহানগর