নগরীতে প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারীদের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গতকাল রোববার থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এই সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে উপশহর, পূর্ব জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, বারুতখানা ও পূর্ব শাহী ঈদগাহ এলাকার প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারীরা রিচার্জ করতে পারছেন না।
সোমবার উপশহর বিদ্যুৎ অফিসে সকাল থেকে ভিড় করেছেন অসংখ্য গ্রাহক। ক্ষোভে-বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। তাদেরকে কোনো রকমের সমাধান দেওয়া হচ্ছে না অফিস থেকে। শুধু মিটার পরিবর্তনের ফরম ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
গরমে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন। অনেকে রান্না, পানি উত্তোলনসহ নিত্যকার কাজ করতে পারছেন না।
উপশহর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম জানান ‘তীব্র দাবদাহের মধ্যে রাতভর বিদ্যুৎ ছিল না, সকালেও আসেনি। এখন অফিসে এসে শুনি সার্ভার সমস্যার কথা। কিন্তু কবে ঠিক হবে, কেউ জানে না।’
নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজারের উন্দাল কিং কাবাবের সত্বাধিকারী সালাউদ্দিন চৌধুরী জানান, রবিবার রাত থেকে রেস্টেুরেন্ট বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় আছে।
বিদ্যুৎ অফিসের সূত্রে জানা যায়, সিলেটে প্রথম যেসব এলাকায় প্রিপেইড মিটার দেওয়া হয়েছিল সেই সব মিটারগুলোতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এগুলোতে আর রিচার্জ করা যাবে না। মিটার পরিবর্তনের পরামর্শ দিচ্ছেন বিদ্যুৎ বিভাগ।
একজন গ্রাহক জানান, মিটারের ৭ ও ১৪ নং সিরিয়ালের মিটারগুলোতেই সমস্যা হচ্ছে।
আরেক গ্রাহক জমশেদ আলী বলেন, তারা আমাদের নতুন মিটার দিচ্ছে। এখন এই মিটার কারা লাগিয়ে দিবে, কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।
এদিকে, গ্রাহক ভিড় বাড়তে থাকায় দুপুরে সেখানে অবস্থান নেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা।
পিডিবি জানায়, পুরাতন মিটারে নানা জটিলতা থাকায় চলতি মাস থেকেই তা পরিবর্তনের কাজ শুরু করে বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে এরই মধ্যে শনিবার দুপুর থেকে বন্ধ হয়ে যায় পুরাতন মিটারের রিচার্জ সার্ভার। ফলে নতুন করে রিচার্জ না হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহও। এ অবস্থায় ভুক্তভোগীদের নতুন মিটার প্রদান করে আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেষ্টা চলছে।
পিডিবি, বিক্রয় বিতরণ-২ এর নিনির্বাহী প্রকৌশলী শামছ-ই-আরেফিন বলেন, এই সার্ভার ঢাকা থেকে নিয়ন্ত্রণাধীন। সেখানে গতকালই যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখানেও কাজ চলছে। আজকেই সচল হওয়ার আশ্বাস দিলেও কখন সচল হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি এই কর্মকর্তা বলেন।
নতুন মিটারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চলতি মাস থেকেই ধাপে ধাপে আমরা গ্রাহকদের পুরাতন মিটার পরিবর্তন করে নতুন মিটার স্থাপনের কাাজ শুরু করি। কারণ পুরাতন মিটারে লক, ব্যাটারি সংক্রান্ত নানা জটিলতা রয়েছে। তবে এরই পুরাতন মিটারের সার্ভার ডাউন হয়ে গেছে। তাই এখন যারাই আসছেন তাদের আমরা নতুন মিটার প্রদান করছি।
তিনি আরো বলেন, সাধারণ একসাথে এতো মানুষের চাহিদা থাকায় নতুন মিটার স্থাপনে আমাদের কর্মীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে যতদ্রুত সম্ভব নতুন মিটার স্থাপনের কাজ চলছে।
আজকের সিলেট/ডি/এসটি
ডেস্ক রিপোর্ট 








