'ভিটেও নেই. ভাতাও নেই' নৌকার মাঝি রিনার
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:০১

'ভিটেও নেই. ভাতাও নেই' নৌকার মাঝি রিনার

অমৃত জ্যোতি, মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) থেকে

প্রকাশিত: ২৫/০৪/২০২৪ ০৩:২৪:১২

'ভিটেও নেই. ভাতাও নেই' নৌকার মাঝি রিনার



সুনামগঞ্জের মধ্যনগর সদরের পার্শ্ব দিয়ে বয়ে গেছে সুমেশ্বরী নদীর প্রশাখা। সেই নদীতে নৌকার মাঝি হয়েছেন স্বামীহারা রিনা বেগম। লোকজন পারাপার করার বিনিময়ে অর্জিত টাকা দিয়ে দিন চলে তার। পঞ্চাশোর্ধ রিনা বেগম তেলীপাড়া গ্রামের মৃত মারফত আলীর বিধবা। স্বামী হারিয়েছেন প্রায় একযুগ হয়েছে।

স্বামীহারা রিনা বেগম ২ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তানের জননী। দিনমজুর সন্তানদের সামান্য আয়ে তাদেরই সংসার চলে। তারা ব্যাস্ত থাকেন তাদের ছেলে মেয়ে ও পরিবার নিয়ে। তাই নিরূপায় হয়ে সুমেশ্বরী নদীতে খেয়া পারাপার নিয়ে প্রতিনিয়তই ব্যাস্ত থাকেন বিধবা রিনা বেগম।

সুমেশ্বরী নদীতে ইটাউরী,সংবাদপুর ও তেলিপাড়ার ঘাটে সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে খেয়া পারাপার। দৈনিক ১শ’র সামান্য বেশি টাকা করেন উপর্জন। সেই অল্প টাকায় চলে রিনা বেগমের জীবন-জীবিকার চাকা।

স্বামীর ভিটে বাড়ী না থাকায় সন্তানদের নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে চলছে তাদের বসবাস জীবন। গৃহহীন হলেও তার কপালে মিলেনি কোন সরকারী ভিটে বা আবাসন। বিধবা হলেও আসেননি রাষ্ট্রীয় ভাতার আওতায়। এপ্রিলের প্রথম দিকে সুমেশ্বরীর মাঝি রিনা বেগম আক্ষেপ করে বলেন "আমার ভিডাও(ভিটে মাটি)নাই, কোন ভাতাও নাই"।আমার টা দিলে হয় না।

প্রত্যেক্ষদর্শী একাধিক ব্যাক্তির সাথে কথা বললে তারা জানান আমাদের চোখে খারাপ লাগে। তবে সবদিকেই অসহায় হয়েই দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা দেখছি লোকজন পারাপার করে সামন্য উপর্জন দিয়েন চলেন ওই বিধবা মহিলা।দিন আনে দিন খায়।আমরা চাই ওই মহিলা রাষ্ট্রীয় সকল ধরনের সহায়তা পাক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীশ দর্শী চাকমার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমেই রিনা বেগমের কথা শুনেছি। তিনি বিধবা যতদ্রুত সম্ভব বিধবা ভাতার ব্যাবস্থা করবো।

আজকের সিলেট/প্রতিনিধি/কে.আর

সিলেটজুড়ে


মহানগর