ছবি: সোহেল মিয়া
আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে নগরের রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ আনসার, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ও শিক্ষার্থীরা। তবে এখনও নগরীর সড়কগুলোতে অবস্থান ধরে রেখেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা। তারাই প্রধানত সড়কে গাড়ি চলাচলসহ অন্যান্য শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীর মদিনা মার্কেট, আম্বরখানা, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার এবং সুবিদবাজার এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
বন্দরবাজার এলাকায় কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়কে কাজ করছেন। তারা যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি এবং মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেন নিশ্চিত করছেন। একইসঙ্গে কেউ যেন হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালাতে না পারেন সেদিকেও রাখছেন কড়া নজর।
দায়িত্বপালনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, দেশ গড়ার দায়িত্ব আমাদের সবার। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের যৌক্তিক দাবি আদায় করেছে। অনেক চড়াই-উৎরাই পার করতে হয়েছে। এখন আমাদের দেশকে আমরাই সাজাবো। সড়কে এতদিন নানান অসংগতি থাকলেও এখন আর সেগুলো করতে দেওয়া হবে না। তরুণদের মধ্যে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তারা যেকোনো ধরনের বৈষম্য এবং দুর্নীতি রুখে দিতে বদ্ধপরিকর।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, গতকাল সারাদিন আমরা একাই সড়ক নিয়ন্ত্রণ করেছি। তবে আজ আনসার রয়েছেন। তারাও আমাদেরকে সহযোগিতা করছেন। আমরা চাই একটি সুন্দর বাংলাদেশ। সবাই মিলেই সেটি গড়তে সাহায্য করি।
এছাড়া অন্যান্য সড়কগুলোতেও সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীদের ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
এর আগে, গতকাল বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আনসার ও ভিডিপি) সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন থানার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এবং সিলেট শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে অনেক থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা চলে গেছেন। রাস্তায়ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাচ্ছে না।
আজকের সিলেট/ডি/এপি