'আমরা কুপি বাতি জ্বালিয়ে বই পড়তাম'
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৬

'আমরা কুপি বাতি জ্বালিয়ে বই পড়তাম'

----------------

প্রকাশিত: ২৮/০২/২০২৪ ০২:২৪:৪৬

'আমরা কুপি বাতি জ্বালিয়ে বই পড়তাম'


এমদাদুর রহমান চৌধুরী  জিয়া: 'কুপি বাতি জ্বালিয়ে আমরা বই পড়তাম। সংসারের কাজের কারণে দিনের আলোয় বই পড়ার সুযোগ পেতাম না। কিন্তু মাথায় একটা  জিনিস কাজ করতো। সন্তানদের বাবা পেশায় একজন শিক্ষক। তাঁর সন্তানদের  মানুষ করতে হবে। সেজন্য আল্লাহ আমার তিন ছেলেকেই বই লেখার তৌফিক দিয়েছেন বলে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।'

বিশিষ্ট কবি ও প্রাবন্ধিক সেজো পুত্র দিলোয়ার ইবনে ইউনুসের বাসায় আয়ারল্যান্ড প্রবাসী পুত্র সাজেদুল চৌধুরী রুবেলের লেখা 'শিশির ঝরা কবিতা' গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে এমন মন্তব্য করেন তিন লেখকের রত্মানগর্ভা মা ৮৪ বছর বয়সী বেগম সাজদা চৌধুরী। 

তিনি বলেন, 'এখনকার ছেলে-মেয়েরা সারাদিন মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত। বই পড়ার ফুসরত নেই তাদের। বই পড়ার অভ্যাস কম। কিন্তু নিজেকে একজন মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে বই পড়ার বিকল্প নেই। বই আমাদের মানবিক হতে শেখায়। তাই আমাদের সন্তানদের একাডেমিক পড়ার পাশাপাশি ছড়া, কবিতা ও গল্পের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।' 

অমর একুশে বই মেলায় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী  উদ্যানে ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তাঁর প্রবাসী পুত্র কবি সাজেদুল চৌধুরী রুবেলের লেখা 'শিশির ঝরা কবিতা' কাব্যগ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। উক্ত অনুষ্টানে মোড়ক উন্মোচন করেন বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী  শফিকুর রহমান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলার সিনিয়র দায়রা জজ হাবিবুর রহমানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

'শিশির ঝরা কবিতা' কাব্যগ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বার্ধক্যজনিত কারণে লেখকের মা উপস্থিত থাকতে  পারেননি। তাই সন্তানদের নিয়ে পুত্রের  বাসায় পৃথকভাবে মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি। মোড়ক উন্মোচনকালে  বেগম সাজেদা  ইউনুস- এর ৯০ দশকের শক্তিশালী লেখক-কলামিস্ট পুত্র দিলোয়ার ইবনে ইউনুস, লেখক ও সাংবাদিক আকাশ চৌধুরী জামাতা মুজিবুর রহমান, মেয়ে হেপী চৌধুরী, নাতনী মাহা, মানসরা, নাতী জনি এস আই রেজাউল অনেকেই উপস্থিত ছিলেন । 

সাজেদুল চৌধুরী রুবেল ৯০ দশক থেকে লেখালেখির সাথে জড়িত। তখন থেকে পাঠক প্রিয় তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে প্রবাসে পাড়ি জমান। বর্তমানে দীর্ঘ ২২ বছর ধরে তিনি পরিবারসহ আয়ারল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি আয়ারল্যান্ড সরকারের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

দেশপ্রেমিক এই লেখক নেত্রকোনা জেলার  মোহনগঞ্জ উপজেলার বরান্তর  গ্রামের সম্ভ্রান্ত  এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সেখানকার স্বনামধন্য শিক্ষক প্রয়াত ইউনুস আলী চৌধুরীর পুত্র। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক। 

এর আগে গত বছর বইমেলায় 'ফেরাবো না তোমাকে'  নামে তার প্রথম কবিতা গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল।

আজকের সিলেট/প্রতিনিধি/মিমো

সিলেটজুড়ে


মহানগর