কাউন্সিলর নিপুর গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৫

কাউন্সিলর নিপুর গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭/০৪/২০২৪ ০৫:০৮:৪৪

কাউন্সিলর নিপুর গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন


 সিলেটে সিটি কাউন্সিলর ও সাবেক সিলেট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু আবারো পলাতক হয়েছেন। মহামান্য হাইকোর্টের জামিনে বের হয়ে ধার্য্য তারিখে আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে আবারো গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।

সিলেটের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে গত ৩ এপ্রিল এ পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর থেকে কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপু পলাতক থেকে নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ পরিবারকে নানা হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী কাউন্সিলর নিপুকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। 


মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) সিলেট জেলা পরিষদের সামনে “সিলেট সচেতন মহল” এর ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়। 


নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফের মা আঁখি বেগম এর সভাপতিত্বে ও জুয়েল আহমদ এর পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট ওবায়দুর রহমান, এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খান, মনোয়ারা বেগম ও কুদ্দুস আহমদ প্রমুখ। 


বক্তারা বলেন, সরকারদলীয় কতিপয় কর্তাব্যাক্তির প্রভাব খাটিয়ে কাউন্সিলর নিপু গ্রেফতার এড়িয়ে চলেছেন। আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকা সত্বেও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। ফলে নিহত আরিফের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। প্রাণ ভয়ে তারা বাড়ি ঘর ছেড়ে ভবঘুরে দিনযাপন করছেন।


বক্তারা নিহত আরিফ পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করার জোর দাবি জানান। এছাড়াও আরিফ হত্যা মামলার ১০নং আসামী সবুজ আহমদও ঘটনার প্রথম থেকেই গ্রেফতার এড়িয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অজ্ঞাত কারণে পুলিশ তাকে গ্রেফতার না করায় স্যোসাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিহতের পরিবারকে হত্যা ও ঘুম করার হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ প্রকাশ। 

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরিফের মা আঁখি বেগম বাদী হয়ে এসএমপি সিলেটের এয়ারপোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় সিটি কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপু সহ ১০ জনকে এজাহারভুক্ত আসামী করা হয়। পরে আসামী কাউন্সিলর নিপু গত ৩ মার্চ হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পন করেননি। ফলে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।

আজকের সিলেট/কে.আর

সিলেটজুড়ে


মহানগর