২৪ মে ২০২৩


স্বামী মেয়র, স্ত্রী কাউন্সিলর প্রার্থী

শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট : আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে স্বামী ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন স্ত্রী। আলোচিত এই দম্পতি হলেন, মো. আব্দুল হানিফ কুটু ও নাজনীন আক্তার কনা। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল হানিফ কুটু স্বতন্ত্র হিসেবে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন। আর সংরক্ষিত ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর নাজনীন আক্তার আবারও কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। নাজনীন আক্তার যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিরও সদস্য।

ইতিমধ্যে তারা দুজন সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে স্থানীয় ১০ জন নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তাদের ডিঙিয়ে নৌকার মাঝি হয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল হানিফ কুটু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। অবশ্য তবে তিনি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন না।

রিটার্নিং অফিসারের হাতে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে আব্দুল হানিফ কুটু বলেন, নগরবাসীকে সেবা দিতে সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়েছি। আমি নির্বাচিত হলে নগরবাসীক নিয়ে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেব। নগরবাসীর সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

এদিকে, তার স্ত্রী সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর নাজনীন আক্তার কণা এবারো একই পদে প্রার্থী হয়েছেন। ১৯, ২০ ও ২১ সাধারণ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই ওয়ার্ডটিতে ২০০৮ সালের নির্বাচনেও কণা বিজয়ী হয়েছিলেন।

প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে নাজনীন আক্তার কণা বলেন, আমি নমিনেশন ফরম জমা দিয়েছি। আমি দীর্ঘদিন থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। এবারও আমার ওয়ার্ডের মানুষের ভোট প্রত্যাশা করছি। তাদের ভালোবাসায় আমি আবারও বিজয়ী হব ইনশাআল্লাহ।

একই ঘরে দুজন প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্বামী আমার বিয়ের আগে থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আর আমি কাউন্সিলর পদে। এটি সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত বিষয়। উনি ৪২টি ওয়ার্ডে উনার কার্যক্রম চালাবেন আর আমি আমার ওয়ার্ডে।

জানা যায়, আব্দুল হানিফ কুটু আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও দলের ওপর ক্ষোভ থেকে প্রার্থী হয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকেই। স্থানীয় ১০ জন নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও শেষমেশ নৌকা ভাগিয়ে নেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

শেয়ার করুন