২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
খলিলুর রহমান : সিলেটে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বিরাজ করছে জনমনে আতঙ্ক। উভয়দলই কর্মসূচি সফলে ব্যাপক প্রচার ও গণসংযোগ চালাচ্ছে। গ্রাম-গঞ্জ ও পাড়া-মহল্লায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। সমাবেশে লোকসমাগম ঘটাতে উয়দলই চেষ্টার কমতি করছে না।
শনিবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সিলেট রেজিষ্ঠারী মাঠে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত সিলেট বিভাগীয় সমাবেশ রয়েছে। একইদিন একই স্থানে শান্তি সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। পরে অবশ্য স্থান পরিবের্তন করে নগরের চৌহাট্টায় সমাবেশ করবে বলে গণমাধ্যকে জানিয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৫ জানুয়ারি বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ৪ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে বিভাগীয় সদরগুলোতে সমাবেশের ঘোষণা দেয়। ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ বিএনপির ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী শনিবার সিলেটে বিভাগীয় সমাবেশে করতে প্রস্তুত সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। ওইদিন বেলা ২টায় নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে হবে এই সমাবেশ। সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক তৎপর রয়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। নগরের পাতিটি-মহল্লা ও জেলার সর্বত্র চলছে প্রচারণা, গনসংযোগও লিফলেট বিতরণ। নগর এবং জেলা উপজেলা থেকে পৃথক পৃথক মিছিল সহকারে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের আগমন ঘটবে নগরীর এ সমাবেশে। সমাবেশের বিষয়টি অবহিত করে ইতোমধ্যে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে চিঠিও দিয়েছে বিএনপি।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিভাগীয় সমাবেশের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। জেলা ও মহানগরের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে হাজার হাজার মানুষ সমাবেশে যোগ দেবে।
এদিকে, বুধবার রাতে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মো. মজির উদ্দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শনিবার সিলেট নগরের চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্র্রীয় শহীদ মিনারের সামনে শান্তি সমাবেশ করবে জেলা ও মহারনগর আওয়ামী লীগ।
একই দিনে কর্মসূচি গ্রহণের বিষয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, এটি পাল্টা কোনো কর্মসূচি নয়। এটা দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ । বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য, অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতবাদে সারা দেশে এই শান্তি সমাবেশ করা হবে।’
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী আজকের সিলেট ডটকমকে জানান, এটা কোনো পাল্টা কর্মসূচি নয়, দলের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য বিরোধী এ সমাবেশ সারা দেশব্যাপি। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস ও সংঘাতে বিশ্বাসী নয়, আওয়ামী লীগ শান্তি ও নিরাপত্তা চায় বলেই শান্তি সমাবেশ করছে বলে জানান তিনি।
একইদিনে নগরে উভয় দলের শোডাউন-সমাবেশ নিয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে উত্তেজনা। নগরের রাস্তায় রাস্তায় বাধার সম্মুখীন হতে পারে একদল অপর দলের। এতে করে সংঘাত সংঘর্ষ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিতে পারছেন না সচেতন মহল।
এ বিষয়ে এসএমপি’র উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সুদীপ দাস আজকের সিলেট ডটকমকে জানান, উয় দল যাতে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসুচী পালন করতে পরে সে ব্যাপারে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। জননিরাপত্তা যাতে কোনোভাবে বিঘ্নিত না হয় সে জন্য নগরজুড়ে ব্যাপক হারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।